কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বিচারপতি নির্দেশ দেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সমস্ত নথি হস্তান্তর করতে হবে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখাকে। সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা
তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

এবার নিয়োগ দুর্নীতে নদীয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। জোরালো হচ্ছে গ্রেফতারির সম্ভাবনা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছেন তৃণমূল বিধায়ক।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত যথেষ্ট ভালো করেছে। তবে এফআইআর-এ নাম থাকা চারজনের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করলেও চতুর্থ ব্যক্তি অর্থাৎ বিধায়ক তাপস সাহাকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি দুর্নীতি দমন শাখা। কেন তাপস সাহার কাছে গিয়ে তদন্ত থমকে যাচ্ছে বারবার। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হলো। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সমস্ত নথি হস্তান্তর করতে হবে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখাকে। সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

বিচারপতি মান্থা বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতির ফলে বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অনেকটা বছর নষ্ট হয়ে গেছে। তদন্ত যাতে স্বচ্ছ ও দ্রুত হয় সেই আশাতেই সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।' তিনি রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে বলেন, 'ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে কেন তাপস সাহার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারা দেওয়া হয়নি? অভিযুক্তরা বেশিদিন বাইরে থাকলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করার সম্ভাবনা থাকে।'

মামলাকারী আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, দুর্নীতি দমন শাখা যদি সত্যি সত্যি তদন্ত করত তাহলে সিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হতো না। বিদ্যালয়, দমকল এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত এই বিধায়ক। তাপস সাহা একজন প্রভাবশালী মানুষ, অনেক তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে গ্রেফতার করেনি। স্বাভাবিকভাবেই হাইকোর্ট আজকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী মামলার ওপর স্থগিতাদেশের আর্জি করলেও সেটা খারিজ করে দেয় আদালত।

এই প্রসঙ্গে বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, অনেকে বলছেন আমি চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছি। পাটিগণিতের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ জনের কাছ থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা তুললে মাথাপিছু ৫০ লক্ষেরও বেশী টাকা হচ্ছে। আমার আগে জমি ছিল প্রায় ৭০ বিঘা। কিন্তু এখন সেটার পরিমাণ কমে ১০ বিঘা হয়েছে। আমি দুর্নীতি করলে আমার সম্পত্তি আরও বাড়তো। কিন্তু কমে গেছে।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা
ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ, যোগ অনুব্রত মণ্ডলের সাথেও!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in