টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে চার প্রাথমিক শিক্ষককে। আলিপুর নগর দায়রা আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চারজনকে। কিন্তু এভাবে হাজার হাজার লোক চাকরি পেয়েছে, তাহলে চারজনকে মাত্র গেফতার করা হল কেন, উঠছে প্রশ্ন।
মাস খানেক আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চারজনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল আলিপুর নগর দায়রা আদালত। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা এই চারজনেরই নাম ছিল সিবিআইয়ের চার্জশিট। সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন এই চারজন। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা।
সোমবার এই চারজন আদালতে হাজিরা দেওয়ার সাথে সাথে তাঁদের আইনজীবীরা আগাম জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, "কেন আপনাদের জামিন দেওয়া হবে? সিবিআই তো ক্লিনচিট দিয়েই দিয়েছিল। আমি ডেকে এনেছি। পর্যাপ্ত মেটেরিয়ালের (তথ্যপ্রমাণের) ভিত্তিতে ডাকা হয়েছে।"
বিচারক বলেন, "আপনাদের কাছে কেউ নিশ্চয়ই টাকা চাইতে যায়নি। আপনারা টাকা নিয়ে গিয়েছেন।’’ চার শিক্ষকের উদ্দেশ্যে তাঁর আরও মন্তব্য, "এঁদের জন্যই সবকিছু।"
৪ শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন আপাতত তাঁরা। আগামী ২১ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক গ্রেফতারি হলেও তাঁদের কেউ শিক্ষক ছিলেন না। এই প্রথম টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষক।
কিন্তু মাত্র চারজনকে কেন গ্রেফতার করা হবে, বাকিদের কেন নয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধৃত শিক্ষক জহিরুদ্দিন শেখের মা জোবেদা বিবি। তিনি বলেন, "দুর্নীতি যদি হয়ে থাকে, আমার ছেলে তো একা করেনি! আর বাকিদের শাস্তি কই?" তাঁর আরও প্রশ্ন, "দুর্নীতি হলে চাকরি যেতে পারে, কিন্তু জেলে দেবে কেন?’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন