দমকলের প্রায় ১৫০০ শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে গত ৪ জুলাই নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলো আদালত। সোমবার ফের সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও পনেরো দিনের জন্য বাড়ানোর নির্দেশ দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি শম্পা দত্তপালের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশন হলফনামা জমা না দিতে পারায় স্থগিতাদেশ আরও বাড়ানো হল। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
গত ২০১৮ সালে দমকল বিভাগে ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ফল প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্টেট ট্রাইবুন্যালে প্রথম মামলা করেন বাসুদেব ঘোষ এবং আরও কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ উঠেছে, সংরক্ষণ সংক্রান্ত শংসাপত্রকে মান্যতা না দিয়েই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। স্যাটে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় একাধিক চাকরিপ্রার্থী। চাকরিপ্রার্থীদের মামলার পরই আদালতের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, সাধারণ ক্যাটাগরিতে ফায়ারম্যান নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। প্রধান অভিযোগ ছিল, লিখিত পরীক্ষায় সমান নম্বর পাওয়াদের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারে অনিয়ম হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত পরীক্ষার পর, মোট ৫,৩৭৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করা হয়। ফলাফল ঘোষণার পর, কিছু প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ করে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের (SAT) কাছে যান।
এসএসসি, প্রাথমিক, মাদ্রাসা কেলেঙ্কারির পর এবার দমকলে কর্মী নিয়োগের দুর্নীতিতে কার্যত রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একের পর এক দুর্নীতি মামলায় বারবার নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এবং কর্মীদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন