একই দিনে জোড়া ধাক্কা। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূমিকা।
শুক্রবার, দুপুরে TET পরীক্ষায় দুর্নীতির দায়ে ৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর, সেই রেশ না কাটতেই এবার দমকল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগের প্যানেল থেকে কোনও নিয়োগ করা যাবে না। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (PSC)-কে। আর এটি করতে হবে আগামী ২ মাসের মধ্যে।
এদিন, মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল জবাবে অংশ নেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। দমকল বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিক অনিয়মের কথা তুলে ধরেন তিনি।
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, অসংরক্ষিত (জেনারেল) প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার জন্য সংরক্ষণের তালিকায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিক ভুল প্রশ্ন ছিল। তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। কিন্তু, সেই সমস্যা সমাধান না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে।
এমনকি, মৌখিক পরীক্ষাতেও একাধিক অসঙ্গতির কথা তুলে ধরা হয়। অনেক প্রার্থী একই নম্বর পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিয়ে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়াও, সার্টিফিকেট নেই এমন ব্যক্তিও (স্পোর্টস কোটায়) চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। যদিও, এইসব অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুন মাসে ১৫০০ ফায়ার অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই বছরই পরীক্ষা নেয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন (PSC)। হয় মৌখিক পরীক্ষাও। আর সেই পরীক্ষাতেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
এই অভিযোগে প্রথমে রাজ্য ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বাসুদেব ঘোষ-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে যায়। আর সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিঃসন্দেহে, তৃণমূল সরকারের কাছে বড় ধাক্কা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন