রাজ্যপালকে সরিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে এবার ব্রাত্য!

গত বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রীসভার যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে নিযুক্ত হবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপালকে সরিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে এবার ব্রাত্য!
গ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

আচার্য পদের পর এবার ভিজিটর পদ থেকেও সরানো হতে পারে রাজ্যপালকে, এমনটাই জানালো নবান্ন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর পরিকল্পনা চলছে। এর পাশাপাশি এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরাতে চায় নবান্ন।

নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের জায়গায় সম্ভবত ভিজিটর পদের জন্য উঠে আসছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু-র নাম। রাজ্য সরকারের সাথে ক্রমাগত ঝামেলা লেগেই চলেছে রাজ্যপালের। এই পরিস্থিতি উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেই অভিযোগ।

এই কারণে, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রীসভার যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে নিযুক্ত হবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক তথা সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাজগতে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। এরই পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকেও এবার রাজ্যপালকে সরানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ঠিক হয় যে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাবার জন্য বিধানসভায় সংশ্লিষ্ট আইনের পরিবর্তন করা হবে। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, কোনও বিল যদি একবার বিধানসভায় পাশ হয়ে যায় তাহলে তা সাক্ষর করতে বাধ্য থাকেন রাজ্যপাল। খুব বেশি হলে তিনি সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারে হওয়া মন্ত্রীসভার বৈঠকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত পড়ে নবান্নের তরফে।

এ প্রসঙ্গে নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী দলগুলির তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে রাজ্যসরকার। বিশিষ্টদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, আচার্য পদে এবং ভিজিটর পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আনা হলে শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতির প্রবেশ অবাধ হয়ে যাবে।

বিরোধী দলগুলির মতে, শিক্ষাব্যবস্থার সব ব্যাপারে নাক গলানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৃণমূল সরকার। এর ফলে রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু অপরদিকে বেশকিছু মহল রাজ্যসরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

রাজ্যপালকে সরিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে এবার ব্রাত্য!
WB: অবিশ্বাস্য! টেন্ডার ডেকে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in