শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার সিবিআই (CBI)-এর স্ক্যানারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরাও।
রবিবার ছুটির দিনে, সন্ধ্যাবেলা সল্টলেকের পর্ষদের অফিস - নিবেদিতা ভবনে অভিযান চালান সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, রবিবার ওই অফিস থেকে আটক করা কিছু নথির ভিত্তিতে, পর্ষদের কিছু আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সম্প্রতি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই অফিসাররা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সূত্রের খবর, ধৃত কল্যাণময়ের কাজ থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই পার্থপ্রতিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
গত শনিবার, নিজাম প্যালেসে পার্থপ্রতিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই, রবিবারে সন্ধায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআই অফিসাররা। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি।
জানা গিয়েছে, কোন পদ্ধতিতে বেআইনিভাবে নিয়োগ হত, পর্ষদ আধিকারিকের কাছে সেই বিষয় জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, ৩৬,০০০ প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরী বাতিল করে, সেই জায়গায় নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর, এই নির্দেশের সামনে আসার কয়েক ঘন্টা পরেই, শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্তে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বর্তমান আধিকারিক ও কর্তা ব্যক্তিদের ভূমিকাকে খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ করেছেন, এই শিক্ষকদের কারোরই প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ছিল না এবং তারা বাধ্যতামূলক যোগ্যতা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই নিয়োগ পেয়েছেন।
তবে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রায়ে জানিয়েছেন, এই ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকেরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। এসময়কালে তাঁরা তাঁদের নিয়মিত শিক্ষকের পরিবর্তে প্যারা-টিচারের বেতন পাবেন। আর, যদি এই ৩৬,০০০ জনের মধ্যে কোনো প্রার্থী ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই প্রার্থী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন