আবারও বেসুরো তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। আরজি কর কান্ডে এর আগেও একাধিকবার তিনি মুখ খুলেছিলেন। যার জেরে বিব্রত বোধ করেছিল তাঁর নিজের দল তৃণমূল। এমনকি তাঁর এক এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বতন ট্যুইটার) পোষ্টে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ এনে লালবাজারেও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। লালবাজারে হাজিরা না দিলেও পরে তিনি সেই পোষ্ট ডিলিট করে দেন। যদিও রবিবার আরও একবার তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইট নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলের এক পোষ্টে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় লেখেন – “জুলাই ১৭৮৯…বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে, ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হয়।’ তাঁর এই ট্যুইটে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বেড়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর।
আপাতদৃষ্টিতে এই ট্যুইটকে নির্বিষ মনে হলেও রাজনৈতিক মহলের মতে এই লেখার মাধ্যমে তিনি আরও একবার নিজের দলকেই খোঁচা দিলেন এবং সাবধান করলেন। সাম্প্রতিক আরজি কর কান্ডের পরবর্তী পর্যায়ে যেভাবে সাধারণ মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, যেভাবে প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন, যেভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে তাতে শাসকদল যথেষ্টই কোণঠাসা। এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভ কমার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
রাজ্য রাজনীতির বিশেষ এই পরিস্থিতিতে ফরাসি বিপ্লবের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কিসের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল সাংসদ? বিশেষ করে তিনি যেভাবে ‘বাস্তিল দুর্গের পতন’ এবং ‘বিক্ষুব্ধ জনতার’ কথা তাঁর ট্যুইটে ব্যবহার করেছেন তাকে অন্যভাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। অনেকেরই মতে আরজি কর কান্ডে আরও একবার নিজের দল তথা রাজ্যের শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ।
উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালের জুলাই মাসের ১৪ তারিখ বিক্ষুব্ধ জনতা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ। যা ছিল ইউরোপীয় সমাজে শোষণ, রাজতন্ত্রের প্রতীক। যে ঘটনাকে ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হিসেবেই দেখা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন