শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের। আজ দ্বিতীয়া। ধীরে ধীরে মানুষ ফিরছে উৎসবে। চারিদিক যখন উৎসবের আলোতে সেজে উঠেছে, তখন অন্ধকার আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে। বিচার পেতে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা জানিয়েছেন, “মঞ্চ বানিয়ে থাকব। এখানে মেডিক্যাল ক্যাম্পও বানাব।“
মেয়ের স্মৃতিচারণ করে নির্যাতিতার মা এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “গতবছর পুজোর মধ্যেই হাসপাতালে ছুটে যেতে হয়েছিল। রোগী দেখাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নবমীর রাত এবং দশমীর সারাদিন হাসপাতালেই কাটিয়েছিল। ওঁর কাছে রোগীই ছিল প্রথম।“
নিহত চিকিৎসকের মা আরও জানিয়েছেন, “আমাদের টালির বাড়ি ছিল, সেখান থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু। তারপর MBBS হল। মেডিসিনে খুব ইচ্ছে ছিল। বসেইনি কাউন্সেলিংয়ে। ওঁর পরে যারা র্যাঙ্ক করেছে, তারা বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু ওঁর টার্গেট ছিল মেডিসিন। আর জি করে মেডিসিন পেয়ে খুব খুশি হয়েছিল, কিন্তু বুঝিনি সেখানেই ওঁকে বলি হতে হবে। স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে চোখ দিয়ে বেরিয়ে এল রক্ত। কতগুলি দুষ্কৃতীর হাতে বলি হতে হল। ৫৪-৫৫ দিন পরেও এখনও উত্তর মেলে নি।“
এরপরেই বাড়ির সামনে মঞ্চ করে পুজোর দিনগুলোতে ধর্ণায় বসার কথা জানান নির্যাতিতার পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন, “আমরাও অবস্থান করব। এত লোক যদি আমাদের জন্য রাস্তায় নামতে পারে, আমরা কেন নামতে পারব না। আমরাও সামনে একটা মঞ্চ বানিয়ে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত থাকব। ওঁরাও (ডাক্তাররা) আসবেন বলেছেন। আমাদের এখানে মেডিক্যাল ক্যাম্প বানাবেন বলেছেন।“
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, “৮ তারিখ আমার মেয়ে ডিউটিতে গিয়েছিল, কিন্তু ৯ তারিখ যে ফোন এসেছিল, সেটা কষ্টের দিন। বলেছিল তাড়াতাড়ি আসুন, কিন্তু আমাদের বসিয়ে রেখে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছিল, দর্শক হিসেবে দেখেছিলাম। এই দৃশ্য যেন আর কোনও বাবা-মা-কে দেখতে না হয়। প্রশাসন কাকে আড়াল করতে চাইল? প্রশাসনের শুভবুদ্ধ উদয় হোক।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন