অভিষেক পত্নী রুজিরার মামলায় সংবাদমাধ্যম এবং ইডির সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, তদন্ত সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আগে থেকে কিছু জানাতে পারবেন না কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংবাদমাধ্যমের জন্যই সকলে জানতে পারছিল। অভিষেক ব্যানার্জির স্ত্রী রুজিরা ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে বলেন, তল্লাশি চলাকালীন এবং যদি কোন জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই মুহূর্তের কোনো ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না সংবাদমাধ্যম। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরাও তদন্ত সম্পর্কে আগে থেকে কোনো সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যমকে সাথে নিয়ে তল্লাশি অভিযানে নামা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত সংক্রান্ত অভিযুক্তের কোনো ছবি সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না। চার্জশিট পেশ করার পর অভিযুক্তের ছবি ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবরই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা ব্যানার্জি। আদালতে তিনি জানান, সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জিত করে খবর উপস্থাপন করছে সাধারণ মানুষের কাছে। এতে সম্মানহানি হচ্ছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
এর আগে অভিষেক ব্যানার্জি থেকে শুরু করে তৃণমূল একাধিক শীর্ষ নেতারা বার বার অভিযোগ করেছেন, ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন