যেকোনও বিষয় নিয়ে সোজাসাপটা কথা বলে থাকেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, তা সে নিজের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ই হোক না কেনো। এই কারণে বিভিন্ন সময়ে নিজের দলের সাথে দূরত্বও তৈরি হয়েছে তাঁর। এবার ফের একবার তিনি আলোচনার কেন্দ্রে। সৌজন্যে - ফেসবুক পোস্ট। এবার প্রশ্ন - তাহলে কি বিজেপি ছাড়ছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী?
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লিখেছেন, “রাজনীতি তে না আসলে জানাই হতো না, যে কত অযথা সময় নষ্ট করে মানুষ”। গতকাল (১৫ জুন) এই ফেসবুক পোস্ট করেছেন বিজেপি নেত্রী। এই পোস্টের পরই রূপার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যেভাবে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা দলবদলে নেমেছেন তাতে অনেকেই মনে করছেন এবার বোধহয় সেই পথে হাঁটবেন রূপাও। আবার অনেকের অনুমান হয়তো রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন তিনি, তাই এই পোস্ট।
ইতিপূর্বে, বিজেপি নেত্রী বিভিন্ন সময়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের বিভিন্ন পদক্ষেপেও। গতবছর দলীয় কাউন্সিলার তিস্তা সান্যালের মৃত্যুর পর দলের অমতে তাঁর স্বামী গৌরবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই দলের একটি ভার্চুয়াল মিটিং থেকে রাগান্বিত হয়ে বিদায় নেন তিনি। এবার এরকম ফেসবুক পোস্ট। স্বাভাবিকভাবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই উক্ত ফেসবুক পোস্টেই রূপা জানিয়েছেন, “অনেকের প্রশ্ন, কেন এলেন? কেউ আসে কিছু করতে। কেউ আসে কিছু হতে। আমি কিছু করতে এসেছিলাম, নিজের ইচ্ছায়। আমি গর্বিত যে আমি বিজেপির কর্মী। কর্মী ছিলাম, আছি, থাকব। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য গর্বিত।”
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে দল ছাড়া বা বদলানো নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তার কিছুটা অবসান ঘটলেও, পুরোপুরি জল্পনা বন্ধ হয়নি। কারণ এর আগেও বঙ্গবাসী একাধিক এরকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে, যেখানে দলবদলের কয়েক ঘণ্টা আগেও দলবদলের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বিজেপিতে এসেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। পথে নেমে রাজনীতি করতে, অনেক মিটিং মিছিলে দেখা গেছে দেখা এই অভিনেত্রীকে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরাজিত হন। ওই বছরই বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন রূপা। তাঁর গতকালের এই পোস্টে সামান্য হলেও নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন