যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষের পাঠানো নথিতে সন্তুষ্ট নয় ইডি। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। বুধবার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ৫৩০ পাতা নথি পাঠিয়ে হাজিরা এড়ান।
গতকাল সায়নী ঘোষ নিজে না গেলেও আইনজীবী মারফত নথি পাঠিয়েছিলেন। প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সায়নীর কাছ থেকে দু'টি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ির কথা জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। ওই ফ্ল্যাট ও গাড়ির নথি সহ বুধবার হাজিরা দিতে বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রীকে। ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূল নেত্রী নাকি সম্পূর্ণ তথ্য জমা করেননি। বেশ কিছু তথ্য নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। সম্ভবত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই সশরীরে হাজিরা দিতে হতে পারে সায়নীকে।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়নী ঘোষকে গতকাল ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। কিন্তু সকালে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন সায়নী হাজিরা দেবেন না। পরে ভোট প্রচারে বেরিয় সায়নী বলেন, তৃণমূলের যুব নেত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রচার করতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটে গেলে অর্থাৎ ১১ তারিখের পর হাজিরা দিতে যাবেন। তার আগে ডাকলে যাবেন না।
৩০ জুন সায়নী ঘোষকে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ইডি জেরার পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার হাজিরা দেবেন তিনি। তিনি এও বলেন, মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক যুবক যুবতীর জীবন জড়িয়ে এর সাথে। তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
উল্লেখ্য, ইডি-র নজরে সায়নী ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সায়নীর আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেবেও সঙ্গতিহীন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র দাবি, সায়নীর ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লক্ষ টাকা, এর সাথে তাঁর আয়করের হিসেব মিলছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন