শনিবার সকালে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই নিয়ে আর জি কর কাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সে টানা ন’দিন হাজিরা দিলেন সন্দীপ ঘোষ।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার প্রথম সন্দীপ ঘোষকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু সেদিন হাজিরা দেননি তিনি। এরপর শুক্রবার কার্যত রাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর থেকে টানা ন’দিন পরপর সিজিওতে হাজিরা দিলেন তিনি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার পর সিজিওতে পৌঁছান সন্দীপ। যদিও কেন এত বার সন্দীপকে তলব করা হল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
পাশাপাশি, আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে আদালত। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তভার দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সমস্ত নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে সিট।
অন্যদিকে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিল শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালত। এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ, অভিযুক্ত, অভিযুক্তের ‘বন্ধু’, হাসপাতালের চার চিকিৎসক পড়ুয়ার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে পারবে সিবিআই।
উল্লেখ্য, যাঁর বা যাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবদেন জানানো হয়, তাঁদের অনুমতি ছাড়া এই পরীক্ষা করানো যায়নি। আর এই পরীক্ষার প্রাপ্ত তথ্য আদালতে প্রমাণ হিসাবেও গ্রাহ্য নয়। শুধু তদন্তকারীদের তদন্তের কাজে লাগে পলিগ্রাফ। সেই কারণে এই পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। শুক্রবার সেই অনুমতি দেয় শিয়ালদা আদালত।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল আর জি করের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ ঘোষ প্রভাবশালী। গত ১২ আগষ্ট সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। স্বাস্থ্য ভবনে নিজের পদত্যাগ পত্রও জমা দেন তিনি। যদিও তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ করা হয় তাঁকে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে যান তিনি। এরপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন