প্রায় ৩২০ দিন ধরে ডিএর দাবিতে কলকাতার শহীদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করতে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কয়েকটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ঘোষণা করে, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে নবান্ন অভিযান করবে তাঁরা। আগামী ১৯, ২০, ২১, ২২ ডিসেম্বর নবান্নের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন তাঁরা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে হাওড়া পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে হাওড়া পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। নবান্ন অভিযানের অনুমতি নেওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
অন্যদিকে, মঞ্চের দ্বিতীয় কর্মসূচি শুরু হবে আগামী বছরের শুরুতে। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তিন দিক থেকে অর্থাৎ শিয়ালদহ, হাওড়া, হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হবে। এরপর মিছিল আসবে কলকাতার শহীদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান মঞ্চে। মিছিল আসার পর শুরু হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি।
ওই জানুয়ারিরই শেষ সপ্তাহে সরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী মঞ্চ। তবে, মিছিল এবং ধর্মঘটের দিনক্ষণ এখনই ঘোষণা করলেন না মঞ্চ নেতৃত্ব।
এদিকে জানুযারিতে যে কর্মসুচি তাঁদের রয়েছে সেই সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময়। আর এই ধর্মঘটের ফলে সমস্যায় পরতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। এবিষয়ে সংগ্রামী মঞ্চের যৌথ কনভেনর অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “মানুষের সহ্যের একটা সীমা থাকে। এই ছেলে মেয়েদেরও ভবিষ্যতের কথা জানতে হবে। দরকার হলে তাঁদেরও আন্দোলনে নামতে হবে। এই রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই এই সব মোকাবিলায়। সরকারের অপদার্থতার জন্য ছেলে মেয়েদের বাইরে যেতে হয়।“
অন্যদিকে, হাজারতম দিন অতিক্রান্ত করেছে এলএসএলটি ২০১৬ চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। আন্দোলনকারী এক মহিলা হাজারতম দিনে মাথার চুল কামিয়ে ন্যাড়া হয়েছেন। এই আন্দোলনকারীদেরও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন