মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে স্ত্রীকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে বহিষ্কারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি শেখ সিরাজউদ্দিনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশও দিয়েছেন।
জানা গেছে, শেখ সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন খাতুন ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালে। কিন্তু ২০১৯ সালে ওই প্যানেল থেকেই নিয়োগ পান জেসমিন। অভিযোগ, তাঁর স্বামী এই নিয়োগে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্যানেলের চেয়ারম্যানের এই কাজ 'অবৈধ' বলে চিহ্নিত করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘ওই চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া দরকার।’’ আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।
সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির দ্রুত শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির যে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়েছিল, ওই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের চাকরি বৈধ বলে গণ্য করা হবে না। এটি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি বিভাগের অশিক্ষক কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া একাধিক ব্যক্তির নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করেছিল এসএসসি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন চাকরীপ্রার্থীদের একাংশ। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি ফের কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল এবং দ্রুত ভিত্তিতে বিষয়টির শুনানির জন্য বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন