আর জি কর মামলায় আদালতে অনুপস্থিত সিবিআইয়ের আইনজীবীই। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি। বিরক্ত হয়ে বিচারপতি জানান, “তবে কি এই মামলায় ধৃতকে জামিন দিয়ে দেব?”
শুক্রবার শিয়ালদা আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল আর জি কর মামলার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। এদিন শুনানির শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবীর খোঁজ করেন বিচারপতি। কিন্তু তিনি আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত কক্ষে উপস্থিত সিবিআইয়ের এক মহিলা আধিকারিক জানান, তিনি এই মামলার সহকারী তদন্তকারী আধিকারিক। আইনজীবী কোথায় আছেন, তা খোঁজ করে জানাচ্ছেন। আধিকারিকের এই কথা শুনে অত্যন্ত বিরক্ত হন বিচারক।
এরপর আইনজীবীর খোঁজ করতে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা আধিকারিক। কিছু সময় পরে আদালত কক্ষে এসে জানান, কিছু সময়ের মধ্যে আইনজীবী উপস্থিত হবেন। এরপর বিচারপতি জানান, ‘‘তবে কি এই মামলায় জামিন দিয়ে দেব? সাড়ে ৪টে বাজছে, আইনজীবী আর কখন আসবেন? দেখুন কোথায় আছেন।“ প্রায় ৪০ মিনিট পর আদালতে এসে পৌঁছান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবীর আদালতে দেরিতে পৌঁছানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবীও। তিনি আদালতে জানান, সকাল থেকে এই মামলার জন্য ঘুরছেন। তদন্তকারী সংস্থার পিছন পিছন ঘুরছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সিবিআইয়ের তরফে কেউ কিছু জানাচ্ছেন না।
এদিন ভার্চুয়ালি এই মামলার মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে হাজির করানো হয় আদালতে। এদিন শুনানিতে ধৃতের আইনজীবী কবিতা সরকার দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের সাথে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি কিছুই করেননি। এর আগেও তাঁর কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই। তাই তার জামিন পাওয়া উচিত।
তাঁর আরও যুক্তি ছিল, এই মামলায় সিবিআই বেশ কিছু দিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও তদন্তের কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এতদিন তাঁর মক্কেলকে জেলে রাখার কোনও মানেই হয় না।
সিবিআইয়ের আইনজীবী ধৃতের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তাদের তিরিফ থেকে ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারপতি সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন