১৫ বছর পর কাটতে চলেছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলার জট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পাশাপাশি, পূর্ববর্তী প্যানেলে যে স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছিল, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সাংসদের কাছে তার জবাব চেয়েছে আদালত।
২০০৯ সালে বাম আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার প্যানেলও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপর ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। এরপর ২০১৫ সালে ফের নতুন করে পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার প্যানেলে স্বজন পোষণের অভিযোগ ওঠে।
এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলাকারীদের আইনজীবী রবিলাল মৈত্র, রাজীতলাল মৈত্র, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আলি হাসান আলমগীর জানান, ২০১৫ সালে যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল তাতে স্বজন পোষণ হয়েছিল। সেখানেও বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
এই মামলার শুনানি ছিল গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব যোগ্য মামলাকারীদের চাকরী দিতে হবে। আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মালদা ও হাওড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সব জেলায় মিলে প্রায় কয়েকশ চাকরি প্রার্থী নিয়োগ পাবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন