অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। পঠন-পাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে হবে। বুধবার কলেজ স্ট্রিটে এসএফআই’র উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক গণ-কনভেনশনে এই দাবি জোরালো করলেন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশিষ্টরা। এদিন প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও কলেজ স্ট্রিটে এই গণ-কনভেনশন হয়।
করোনা মহামারীর কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পঠন-পাঠনে হয়রান হতে হয় পড়ুয়াদের। অনলাইন শিক্ষা নিয়ে উঠছে বিস্তর অভিযোগও।
এদিন গণকনভেনশনে সভায় সভাপতি ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকউর রহমান। বক্তব্য রাখেন এসএফআই’র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, কলকাতা জেলা সম্পাদক অর্জুন রায় ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অভিভাবক ও মহিলা আন্দোলনের নেত্রী কনীনিকা ঘোষ বোস প্রমুখ। কনভেনশনের দাবিকে পূর্ণমাত্রায় সমর্থন জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার ও মালিনী ভট্টাচার্য।
সৃজন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, রেস্তোরাঁ, বার, শপিং মল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্র চালু করা গেলে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার স্বার্থে কেন প্রয়োজনীয় কোভিড বিধির ব্যবস্থা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না? আসলে শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়ন, পড়ুয়াদের স্বার্থ, তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে ভাবনার সদিচ্ছার সংস্কৃতিটাই তৃণমূল পরিচালিত সরকারের এই সময়কালে উবে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। এই পরিস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীরা মানবে না।
প্রতীকউর রহমান বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসূচি সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বাধ্য করেই ছাড়ব। সেই লক্ষ্যেই এই গণ-কনভেনশন। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে মিছিল ও সভার আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী ৬ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চলবে এই দাবির সপক্ষে সই সংগ্রহ। ১১ আগস্ট রাজ্যের সমস্ত ব্লকে দেওয়া হবে ডেপুটেশন এবং আগামী ১২আগস্ট রাজ্যের সর্বত্র রাস্তায় বসে বিকল্প ক্লাসরুমের আয়োজন করা হবে।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন