জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল সহ একাধিক দাবিতে কলেজস্ট্রীটে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই-র অবস্থান বিক্ষোভ করে। তাদের অবস্থান মঞ্চে বৃহস্পতিবার উপস্থিত হয়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গণ আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিত্বদের একাংশ।
কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বার বার বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসএফআই। এবার তারা অবস্থান বিক্ষোভের পথে হাঁটলো। এসএফআই-র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ মূলত জাতীয় শিক্ষানীতি ও ইউজিসির সাম্প্রতিক লাগু করা কিছু নিয়মের বিরুদ্ধে। সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল জাতীয় শিক্ষানীতি এই রাজ্যে কীভাবে পালন করবেন তা নিয়ে সমস্ত কনসার্ন স্টেক হোল্ডারের সাথে কথা বলুন। সবথেকে বড় স্টেক হোল্ডার ছাত্ররা। কিন্তু কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সাথে কথা বলেনি"।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দাবি ছাত্রদের সাথে আলোচনা করতে হবে। চার বছরে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স করানো হবে, হোস্টেলের ফিস বাড়বে, ড্রপ আউট স্টুডেন্টের সংখ্যা বাড়বে আর আমরা চুপ করে থাকবো এটা হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে'।
পাশাপাশি তিনি বলেন, 'শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। মিড-ডে-মিলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, হাজার হাজার স্কুল বন্ধ, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার কমছে। কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে'।
এফএফআই-র রাজ্য সভাপতি প্রতীক-উর রহমান বলেন, 'গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা জেলে রয়েছে। যোগ্য শিক্ষকরা রাস্তায় বসে ধর্না দিচ্ছেন আর অযোগ্যরা চাকরি করছেন। তৃণমূল শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করে দিচ্ছে। কলেজগুলিতে ভর্তি ফিস প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা বলেছিলাম সেমিস্টার সিস্টেম লাগু করবেন না। সেই পরিকাঠামো পশ্চিমবঙ্গে নেই। বিজেপি-তৃণমূল মিলে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় কে বসবে তার লড়াই করছে। এরা পড়ুয়াদের কথা ভাবে না। তার বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ'।
এই অবস্থান বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে থেকে শুরু হয়েছে। উপস্থিত হয়েছিলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার সহ একাধিক বিশিষ্ট জনেরা। আজ অবস্থান বিক্ষোভ শেষে কলেজস্ট্রীট থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিলের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন