সন্দেশখালি কাণ্ডে ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ শাহজাহানের। আর এই আবহে এবার শেখ শজাহানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই প্রথম সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে কথা বললেন।
শনিবার সিরিটি শশ্মানে গিয়েছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে ফিরহাদ বলেন, ‘‘শাহজাহান যা করেছে অন্যায় করেছে। আমি গণমাধ্যমে দেখেছি, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। যেটা করেছে, নিশ্চিত করে বলছি, অন্যায় করেছে।“
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে দ্বিতীয়বার শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে ইডি তৃণমূল নেতার বাড়ির দেওয়ালে সমন সাঁটিয়ে দিয়ে আসে। আগামী ২৯ জানুয়ারী তাকে ইডি দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ওই দিনই হয়ত অন্তরাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে শেখ শাহজাহান।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠি থেকে খোঁজ মেলে শেখ শাহজাহান ও বনগাঁর আর এক তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের। এরপর গত ৫ জানুয়ারী ইডির একটি দল বসিরহাটের সন্দেশখালিতে ও অন্য একটি দল বনগাঁতে যায় তল্লাশি অভিযানে।
সন্দেশখালি অভিযানে গিয়ে দেখা মেলেনি শেখ শাহজাহানের। বরং শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আহত হন ইডি আধিকারিকরা। অন্যদিকে, গত ৫ জানুয়ারী মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয় শঙ্কর আঢ্যকে। আপাতত ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে ১৯ দিন কেটে যাওয়ার পর এখনও মেলেনি সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহিজাহানের খোঁজ।
এরপর ফের ২৪ জানুয়ারী দ্বিতীয়বারের জন্য শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি। যদিও সেদিন তল্লাশি অভিযানে তেমন কিছু পায়নি। এরপর, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং নিজের পাসপোর্ট আকারের ছবি।
শেখ শাহজাহানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেছিলেন, ‘‘শেখ শাহজাহান চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছেন। উনি অসুস্থ ছিলেন। তবে এখন কোথায় আছেন, নিশ্চিত ভাবে পুলিশ তা খুঁজে বার করবে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন