কংগ্রেসে যোগ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মমতা ব্যানার্জির অন্যতম ছায়াসঙ্গী ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দার। শনিবার অধীর চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন ফিরহাদের জামাই।
তৃণমূলের থেকে দূরত্ব যে আগেই বাড়িয়েছিলেন তা সকলেই জানেন। কিন্তু অন্য কোনও দলে যোগ দেননি। শনিবার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অধীর চৌধুরী। সেখানেই নিজের যোগদানের ঘোষণা করেন ইয়াসির হায়দার। ইয়াসির যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। তিনি বলেন, "দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দলের মধ্যে দুর্নীতি বেড়ে গেছে। এইভাবে থাকা যায় না। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সেই জন্য রাজনীতিতে এসেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলে নেতারা সেই কাজ করছেন না। যাঁরা সারাক্ষণ দলের জন্য কাজ করেন তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।"
পাশাপাশি তিনি বলেন, "রাজনীতিবিদের থেকে আমি নিজেকে সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসি। মানুষের সাথে সারাক্ষণ যুক্ত থাকার চেষ্টা করি। তৃণমূল স্তর থেকে কাজ করতে ভালোবাসি। আমি আমার ১০০ শতাংশ দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।"
ফিরহাদ হাকিমের জামাই আরও বলেন, "২০১৯ সালে আমাকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমি শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। আর কংগ্রেস থেকেই তৃণমূলের জন্ম হয়েছে। ভারতের সবথেকে পুরনো রাজনৈতিক দল হলো কংগ্রেস। সকলেরই কংগ্রেসের প্রতি কম বেশি একটু দুর্বলতা রয়েছে। তাই আমি কংগ্রেসকেই বেছে নিয়েছি।"
প্রসঙ্গত, ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে এই ইয়াসির হায়দার তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, "আমাকে একজন বলেছিলেন, সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব না হলে আপনি টিকিট পাবেন না। মনে হচ্ছে সেই উপদেশ আমার মানা উচিৎ ছিল। যাঁরা দলের জন্য ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন, তাঁদের গুরুত্ব দল দেয়না। তাই সকলকে জানাচ্ছি তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের সাথে আমাকে জড়িয়ে ফেলবেন না।"
খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর ঘরে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। যদিও এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়ে মেলেনি ফিরহাদ হাকিমের পক্ষ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন