সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দূর্গাপুর আসন থেকে জিততে পারেননি দিলীপ ঘোষ। তারপর থেকে দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্রোহী মন্তব্য করছিলেন তিনি। প্রতিদিন মনিং ওয়ার্কে বেরিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন তিনি। সেই দিলীপ ঘোষই এবার দাবি করেলন তিনি আর সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করবেন না।
শুক্রবার সকালে রোজকারের মতো প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। সংবাদ মাধ্যম থেকে তাঁকে একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, “সংবাদমাধ্যমকে আমি আর কিছু বলব না। যা বলার জনতাকে বলব।“ কী কারণে আকস্মিক এমন কথা বললেন তিনি? তাহলে কী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও বার্তা পেয়েছেন দিলীপ? উঠতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন।
অন্যদিকে, বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপি ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি অনুযায়ী সুকান্তকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে যে অব্যাহতি দেওয়া হবে তা কার্যত স্পষ্ট। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন? বিজেপির অন্দরে জল্পনা দলের রাজ্য সভাপতি পদে প্রত্যাবর্তন হতে পারে দিলীপের।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভায় রাজ্যে বিজেপির কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে এসেছে ১২ তে। আর এই আবহে দিলীপকে আবার সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সফলতম সভাপতি। অন্যদিকে, দিলীপের সঙ্গে যোগ রয়েছে সংঘেরও। এরই মধ্যে দিলীপের হঠাৎ চুপ করে যাওয়া নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন