নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি। বৃহস্পতিবার সাতসকালে নিউটাউনে নিয়োগ মামলার মিডিলম্যান প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেরা করা হচ্ছে প্রসন্ন রায়কে। উল্লেখ্য, এই প্রসন্ন রায়কে সুপ্রিম কোর্ট জামিনে মুক্তি দিয়েছে। পাশাপাশি, এদিন কলকাতার মোট সাত জায়গায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছে ইডি।
এদিন সকালে প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের আবাসনে যান ইডি আধিকারিকরা। সেখানে প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। প্রসন্ন রায়ের পাশাপাশি এদিন আর এক মিডলম্যান প্রদীপ সিং ও রোহিত ঝায়ের আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। প্রদীপ সিংও জামিনে মুক্ত। এদিন সকালে নিউটাউনের তিন আবাসন, মুকুন্দপুর ও নয়াবাদেও চলছে তল্লাশি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদও।
ইডি সূত্রে খবর, ৪৫০টির বেশি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে প্রসন্নকুমার রায়ের। তাঁর এই সম্পত্তির উৎস কী, তা জানতে এবার তদন্তে নেমেছে ইডি। সূত্রের খবর, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর নাকি প্রসন্ন সেই জমি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার আগেই বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন প্রসন্ন বলে দাবি ইডির।
নয়াবাদে ব্যবসায়ী রোহিত ঝায়ের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, পেশায় প্রোমোটার রোহিত আবার প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ। প্রদীপ সিংয়ের নম্বর তাঁর ফোনে ছোটু বলে সেভ করা ছিল। রোহিতের মাধ্যমে কিভাবে পাচার হয়েছে টাকা, তার সন্ধান চালাচ্ছে ইডি।
২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসএসসির তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার ঘনিষ্ট বলে নাম উঠে এসেছিল প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংহের। সেই সময় সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে চার্জশিট জমা করতে না পারায় আদালত থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় ওই দুজনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন