স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকের বিরুদ্ধে শেষপর্যন্ত এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় ষড়যন্ত্র, ৪২০ ধারায় প্রতারণা ও ৪৬৮ নম্বর ধারায় জালিয়াতি, ৪৭১ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে আধিকারিক অলোক সরকারের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন শাখার তরফে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবারও অলোক সরকারকে হাজিরা দিতে হয় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ সিবিআই দফতরে যান তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন একজন ডিএসপি ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সিবিআই আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে দ্বিতীয় বারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। তারপরই অলোক সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেননি অলোক। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের কম্পিউটারও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। এসএসসির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ সিবিআইকে জানান, কম্পিউটারের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই সব গন্ডগোল হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এসএসসির নিয়োগে যে কম্পিউটার ও নথিপত্র ব্যবহার হয়েছে, তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। কম্পিউটারে কোনও ত্রুটি ছিল কি না, তা যাচাই করতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শান্তিপ্রসাদ প্যানেল তৈরির সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্যানেলে ৮৯ জন অকৃতকার্য প্রার্থীর নাম কীভাবে ঢুকে পড়ল, তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। কার নির্দেশে তা করেছেন, তার স্পষ্ট উত্তর তিনি দেননি। কিন্তু প্যানেল শুধরে নেননি কেন তিনি? সেই প্রশ্নের অসংলগ্ন উত্তর মিলেছে শান্তিপ্রসাদের কাছ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন