স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার জোড়া এফআইআর করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এর পাশাপাশি, আজ মঙ্গলবার কলকাতার ইডি দপ্তরে এই মামলার সাথে অভিযুক্ত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই মামলায় ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকালে বেশকিছু মামলাকারীদের সাথে কথা বলেছে ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরাই সর্বপ্রথম নিয়োগ দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এনেছিল। তারাই প্রথম কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। তাই তদন্ত শুরুর আগে মামলাকারীদের সাথে কথা বলে এ বিষয়টি সম্পর্কে একটি ধারণা রাখতে চাইছে ইডি।
এতদিন পর্যন্ত এসএসসি ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার তদন্তভার ছিল সিবিআই-এর হাতে। সূত্রের খবর, সেই তদন্ত চলাকালীন লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের বহু নথিপত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর ফলে এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি ও প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে সিবিআই।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর সিবিআই-এর আর্জি মেনেই এসএসসি এবং প্রাথমিকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ব্যাপারে তদন্তভার নিয়েছে ইডি। এসএসসি গ্রুপ সি ও ডি এবং প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জোড়া এফআইআর দায়ের করেছে ইডি।
সিবিআই-এর তদন্তে জানা গেছে, প্রভাব দেখিয়ে কয়েকশো অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই সবকিছুর হদিশ পেতে এবার সিবিআই-এর সাথে যুক্ত হয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি।
সিবিআই সূত্রের খবর, অযোগ্য প্রার্থীদের কত টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছিল? কারা কারা সেই টাকার ভাগ পেয়েছিল? কোথা থেকে এল এত টাকা? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতেই তদন্তে নেমেছে ইডি আধিকারিকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন