এসএসসি নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-র হাতে। তবে, এবার সিবিআই-র পাশাপাশি আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল উচ্চ আদালতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এই প্রথম কোনও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ এসেছে সিবিআই-র হাতে। আদালতে সেই কথা জানিয়েছেন সিবিআই-র আইনজীবী।
অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মূল কাণ্ডারী আসলে কে? কারা কারা এখনও যুক্ত রয়েছে এই চক্রের মধ্যে? এই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতেই মূলত নবম-দশমের মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, ১০২ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে কাউন্সেলিং করে অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালত আরও জানিয়েছে, আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাউন্সেলিং এবং ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। শুধু তাই নয়, তদন্ত চলাকালীন যে ৯৫২ জন ভুয়ো শিক্ষকের উত্তরপত্র (OMR Sheet) জমা নিয়েছিল সিবিআই, সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে।
বিচারপতির নির্দেশ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, এই প্রথম কোনও মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি প্রথম ১০১ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং-র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন