এসএসসি নবম-দশম বিভাগে অবৈধ উপায়ে নিয়োগের সুপারিশ যাদের দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এমন ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকালও তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কত জন, কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে নিতে হবে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে। তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করতে হবে এসএসসি-কে।
আদালতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আগামী ৩ ডিসেম্বর নিজেদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে এসএসসি কর্তৃপক্ষ, সিবিআই এবং মামলাকারী। গাজিয়াবাদ এবং এসএসসির দফতর থেকে যে হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেখান থেকে ইতিমধ্যেই OMR শীটের নমুনা পেয়েছে সিবিআই। সেইসব তথ্য খতিয়ে দেখে আদালতে রিপোর্ট পেশ করবেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের উদ্দেশ্যে এদিন বলেন, কোনওরকম ভয় পাবেন না, অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন বিচারপতি সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন, ভুয়ো শিক্ষকদের নিয়োগ তালিকা এখনই আদালতে পেশ করতে হবে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি - কমিশনের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছিল, ২০১৬ সালে নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এমন ১৮৩ জন শিক্ষকের নাম খুঁজে পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই নামের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। এরপর বুধবার ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত আর একটি মামলায় জানা গেছে, সংখ্যাটা আরও বেশি। ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন