নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আবার প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃতি কাণ্ডে জড়িত এবং বেআইনি নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন এফআইআর (FIR) হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)।
বুধবার, গ্রুপ ডি মামলায় (Group D Case) শুনানি চলাকালীন সিবিআই (CBI)-কে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বসু বলেন, 'যারা ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পেলেন তাদের বিরুদ্ধে কেন ক্রিমিলান কেস নয়?'
CBI-র আইনজীবীকে বিচারপতি বসু বলেন, '১৬৯৮ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে? মূল চক্রী কে? একটা ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। একজন তৈরি করেছে। আরএক দল সুবিধা পেয়েছে। দু’পক্ষই কি সমান দোষী নয়? এদের প্রত্যেককে কেন ক্রিমিনাল কেস দিচ্ছেন না আপনারা?'
পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, 'বিশেষ বিবেচনার জন্য যারা ঘুষ দিচ্ছেন তারাও সমানভাবে দোষী। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা উচিত ছিল সিবিআই-এর।'
বিচারপতি বসু আরও বলেন, 'সিবিআই ক্রিমিনাল কেস দিলে তাঁদের (বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত) দায়িত্ব হবে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করা। আর তা যদি তাঁরা না পারেন, তাহলে টাকাও যাবে, জেলও হবে।'
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে টানা তৃতীয়বার কলকাতা হাইকোর্টের ক্রোধের মুখোমুখি হলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি, বিচারপতি বসু বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের প্রতি ধাপে CBI-কে বারবার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত।'
CBI-র আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, 'প্রতিদিনই আপনি আদালতে আসছেন, উপদেশ শুনছেন আর ফিরে যাচ্ছেন। এই ব্যবস্থা চলতে পারে না। বাস্তবে যেটা প্রয়োজন, অনুগ্রহ করে সেই কাজ করুন।'
এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি এক শুনানিতে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তকারী সিবিআই-এর বিশেষ তদন্ত দলের (SIT) সদস্যদের সম্পদের বিবরণ জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন