মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার, কাউন্সিলের ভোটে- ভোট লুট, দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং বিরোধীপক্ষের প্রার্থী হওয়ার দায়ে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার নবান্নের পক্ষে থেকে ডাক্তারদের ট্র্যান্সফারের যে নোটিশ জারি হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে ৫ জন চিকিৎসকের। ঘটনাক্রমে- মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তাঁরা সরকারপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন।
জানা যাচ্ছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটের দিনই হুমকি দেওয়া হয়েছিল, বিরোধীদের দেখে নেওয়া হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, শুক্রবার সেই হুমকিরই প্রতিফলন ঘটালো নবান্ন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের বদলির তালিকায় বিশেষভাবে নাম রয়েছে-
১) ডাঃ বিষাণ বসু, যিনি বর্তমানে কর্মরত ছিলেন কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে- ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
২) ডাঃ পরাগবরণ পাল, বর্তমানে কর্মরত ছিলেন কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে- পুরুলিয়ায় দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
৩) ডাঃ মানসকুমার গুমটা, বর্তমানে কর্মরত ছিলেন কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে- বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
৪) ডাঃ তুলিকা ঝা, যিনি বর্তমানে কর্মরত ছিলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁকে বদলি করা হয়েছে- উত্তরবঙ্গে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
৫) ডাঃ সরস্বতী দত্ত (বোধক), যিনি বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে বদলি করা হয়েছে- বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে, এই বদলিকে রীতিমতো প্রতিহিংসামূলক বলেই মনে করছেন রাজ্যের চিকিৎসকমহল। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে- অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, পশ্চিমবঙ্গ'।
যদিও স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, প্রত্যেককে রুটিন বদলি করা হয়েছে।
তবে, এই দাবি মানতে রাজি নয় 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম' -এর তরফে চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ী ও কৌশিক চাকী। দু'ই চিকিৎসকই জানিয়েছেন, 'মেডিক্যাল কাউন্সিলে বদল চেয়েছিলেন যাঁরা, বদলা নিতেই সরকার এই বদলি করেছে। এটা রুটিন বদলি নয়।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন