৫৭ দিনের মাথায় প্রকাশিত হলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। প্রথম দশে রয়েছে ৮৭ জন। পাসের হার ৮৯.২৫ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৯১.৮৬ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭.২৬ শতাংশ। ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের শুভ্রাংশু সরকার।
২০২৩ সালে যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে তারা করোনার সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়নি। ফলে তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ছিল এই উচ্চমাধ্যমিক। প্রথম দশে রয়েছে ৮৭ জন পরীক্ষার্থী। ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র শুভ্রাংশু সর্দার। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে দু'জন। বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ের সুষমা পাল এবং উত্তর দিনাজপুরের আবু সামা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চারজন। চন্দ্রবিন্দু মাইতি, পিয়ালী দাস, অনুশুয়া সাহা এবং শ্রেয়া মল্লিক। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
চতুর্থ হয়েছে তিন জন, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে ৫ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। ৪৯১ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ১২ জন। সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ১৪ জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। অষ্টম স্থানে রয়েছে ১১ জন, প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। নবম স্থান অধিকার করেছে ১৮ জন ৪৮৮ এবং দশম স্থানে রয়েছে ১৭ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭।
মেধা তালিকার প্রথম দশে হুগলি থেকে থেকে রয়েছে ১৮ জন। জেলাগুলির মধ্যে পাসের হার সব থেকে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে (৯৫.৭৫%)। তারপরে রয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কালিম্পং, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলী, কলকাতা এবং ঝাড়গ্রাম। এই জেলাগুলিতে পাসের হার ৯০ শতাংশ বা তার বেশি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আরও জানান, পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিকের সময়সূচির পরিবর্তন করা হচ্ছে। সাধারণত পরীক্ষা হতো সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ১৫ পর্যন্ত। কিন্তু পরের বছর থেকে বেলা ১২টা থেকে ৩টে ১৫ পর্যন্ত হবে। পরীক্ষা শুরু হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৪ জন। পরীক্ষায় বসেছিল ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯১ জন। পাশ করেছে ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন