বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের যুব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সেই কমিটিতে নাম রয়েছে এক ঝাঁক নতুন প্রজন্মের। তবে, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই দলীয় নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কের সন্তান। যার জেরে রাজ্যের শাসক দলকে 'পরিবার তন্ত্র' চালানোর অভিযোগে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। সেই কারণেই কি ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ছেলে সপ্তর্ষী বক্সীকে? উঠছে প্রশ্ন।
নতুন প্রকাশিত কমিটিতে নাম নেই যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ২ বারের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্যের নাম। ঘোষিত নতুন কমিটির সভানেত্রী পদে রয়েছেন সায়নী ঘোষ। সপ্তর্ষীর জায়গায় যুক্ত করা হয়েছে নতুন আরও ৫ জনের নাম।
সূত্রের খবর, ১৭ জন সম্পাদকের মধ্যে নাম ছিল সুব্রত পুত্র সপ্তর্ষীর। যুব তৃণমূলের তরফে এই প্রথম কোনও পদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু একদিনের মধ্যেই সেই পদ থেকে সরিয়ে ফেলা হল তাঁকে।
বুধবার যুব সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পরই মোট ৫২ জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকদের তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বসুন্ধরা গোস্বামীর, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর পুত্র সৌরভ বসুর, যিনি ২০২১ সালের কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন।
এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বক্সীর পুত্র সৌম্য বক্সী। সম্পাদক পদে রয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ঘোষ।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের ছেলেমেয়েদের রাখার কারণে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষের সুরে বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলের পরিবার নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। তবে তৃণমূল মানেই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি। ওপরের দিকে পরিবারতন্ত্র থাকলে তা নীচের দিকেও যায়। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন উত্তরাধিকারী রয়েছেন, তেমনই নীচুতলাতেও উত্তরাধিকারী তৈরি করা হয়েছে।
পাল্টা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, আমার ছেলে বা অন্যরা অনেকে আগে থেকেই কমিটিতে ছিল। আর এটা একেবারেই পরিবারতন্ত্র নয়! অধিকারী বাড়ির সকলেই তো রাজনীতিতে! তবে কি সেটাও পরিবারতন্ত্র?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন