আজ বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। DYFI রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক কর্মী-সমর্থকদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর নর্থ থানায়। সেখানে তাঁদের সাথে দেখা করতে যান সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
থানা চত্বর থেকে সাংবাদিকদের সামনে সুজন বাবু বলেন, "মাথাটা কাজ করছে না, মাথাটা বিগড়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেইজন্যই দুর্গন্ধের মত শব্দ ব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা তাঁকে (পড়ুন মমতাকে) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, যোগ্যতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আক্রমণ যদি হয়, আজ যেমন দেখলেন তেমন সারা রাজ্যে মানুষ বিক্ষোভ করবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের অনেক ছেলেমেয়েদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। যতক্ষণ ওদের আটকে রাখা হবে, তত বেশি থানার বাইরের এই বৃত্তটা আরও বড় হবে। আগামীকাল (শনিবার) রাজ্যের বিশিষ্ট মানুষজনেরা প্রতিবাদ কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছে। ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হবে। সমস্ত সাধারণ, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা কালকের মিছিলে পা মেলান।"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে আন্দোলন স্থল থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে এর প্রতিবাদে মিছিল করে বাম ছাত্র যুবরা। সেখান থেকেই মীনাক্ষী মুখার্জী সহ প্রায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী। তিনি বলেন, "১৪৪ ধারা কত দূর পর্যন্ত আছে তা আমরা দেখতে চাই। পুলিশ আমাদের স্পষ্টভাবে তা দেখিয়ে দিক। চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর ১৪৪ ধারা কেন জারি করা হল? পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ করা কি অন্যায়? পয়সা দিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, চলবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন