গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জির চিকিৎসা এসএসকেএম-এ হলো না, কিন্তু সিবিআই ডাকলেই অনুব্রতর রক্ষাকবচ হয়ে যাচ্ছে এসএসকেএম। ভারী মজার ব্যাপার। অনুব্রত মণ্ডলের আচমকা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
গরু পাচারকান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার উদেশ্য নিয়ে গতকাল কলকাতা আসেন অনুব্রত। আজ সকালে বাড়ি থেকে বেরও হন। কিন্তু আচমকা তাঁর গাড়ি SSKM হাসপাতালের দিকে মোড় নেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। এই নিয়ে পঞ্চম বার হাজির এড়ালেন তিনি।
এক সংবাদ মাধ্যমে এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "কল ডাইভার্টেড কথাটা এখন সবাই জেনে গেছে। মহা মজার ব্যাপার। কয়লা চোর, বালি চোর, গরু পাচারকারী, বগটুই - যেকোনো কাণ্ড নিয়ে সিবিআই থেকে যদি একটা কল যায়, সঙ্গে সঙ্গে ডাইভার্টেড হয়ে গেল এসএসকেএমের উডর্বান ওয়ার্ড। মোট কথা সিবিআই ডাকলেই এসএসকেএমের উডর্বান ওয়ার্ড বাধা। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জির চিকিৎসা এসএসকেএমের উডর্বান ওয়ার্ডে হলো না। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হলো। আর সিবিআই ডাকলেই এনাকে (অনুব্রত) চলে যেতে হচ্ছে এসএসকেএম-এ। পুরো বিষয়টা হাস্যকর, সবাই বুঝতে পারছে।"
বাম নেতা আরও বলেন, "ডাকলেই পালাতে হচ্ছে। হাইকোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচ আনতে হচ্ছে। সিঙ্গেল বেঞ্চ না দিলে ডিভিশন বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ না দিলে উডর্বান ওয়ার্ডে যেতে হচ্ছে। এতবার রক্ষাকবচ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলরা আসলে প্রমাণ করে দিচ্ছেন গ্রেপ্তারের কোন বিকল্প নেই। উনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ধরা পড়ে যাবেন উনি। এরকম ডাকলে হবে না, গ্রেপ্তার করতে হবে। অপরাধীরা রেহাই পেতে পারে না। ধরা পড়বেই, যতই চেষ্টা করুক। অনুব্রতর গ্রেপ্তার হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করি আমি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন