নির্বাচন চলাকালীনই তৃণমূল-বিজেপি 'সেটিং' তত্ত্ব শোনা গেলো খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে! সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে গোপন বোঝাপড়ার নিয়ে মন্তব্য করেন সুকান্ত।
বামেরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে 'সেটিং'-র রাজনীতি চলছে। সেই জন্যই নেতারা একবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে তো একবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এদিন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বিজেপি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে নেতা প্রয়োজন হচ্ছে। তাই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসছে। এই যেমন অর্জুন সিং-র কথা ভাবুন। তৃণমূল থেকে ওনাকে বিজেপিতে নিয়েছিলাম। আবার উনি যখন তৃণমূলে যান আমাদেরকে জানিয়েই গিয়েছিলেন। এখন নির্বাচন রয়েছে তাই ব্যারাকপুরে তিনি বিজেপির প্রার্থী হলে আমাদের সুবিধা হয়, তাই প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। এরমধ্যে কোনও অসুবিধা নেই। আর যা জানি, সবকিছু তো প্রকাশ্যে বলা যায় না'।
তিনি আরও বলেন, বিজেপির দরকার বলেই সেই সমস্ত নেতাদের নেওয়া হচ্ছে। তবে বিজেপিতে এলে বিজেপির নীতি আদর্শ মেনে চলতে হবে। নইলে দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে।
শুধু তাই নয় রাজ্যে তৃণমূল সরকারের পতন নিয়েও সুর চড়ান তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, "লোকসভা নির্বাচনে আমরা ৩০টা আসনের লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করছি। তবে তৃণমূলের থেকে যদি একটা আসনও বেশি পাই তাহলে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসবে। কোনো নির্বাচিত সরকার ফেলার পক্ষপাতী আমরা নই। কিন্তু তৃণমূল নিজেদের সরকার বা বিধায়কদের ধরে রাখতে না পারলে কী করা যাবে? মহারাষ্ট্রের চাচা ভাতিজার মতো এখানে পিসি-ভাইপোর মধ্যে ঝামেলা হলে বিজেপি কী করবে? বিজেপি না থাকলেও তো তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে।"
ওই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বামেদের নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা আদর্শে বিশ্বাসী। আর আদর্শগত দিক দিয়ে বিচার করতে গেলে প্রধান বিরোধী হিসেবে বামেদেরকেই মনে করি। কারণ কমিউনিস্ট আর আমাদের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ পৃথক। তাই বামেরাই আমাদের মূল বিরোধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন