রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না সিবিআই। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। তবে সিবিআই-র হাজিরার বিরোধিতা করেনি দেশের শীর্ষ আদালত।
বুধবার সুপ্রিমকোর্টে তিনি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত নির্দেশ দেয় ৩০ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। কিন্তু সিবিআই নিজেদের মতো তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না।
এর আগে বুধবার পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিমকোর্ট। গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান যে লিভ পিটিশন জমা দিয়েছিলেন সেই মামলারই শুনানি ছিল আজকে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। রক্ষাকবচের পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশও বহাল রাখে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকে অপরাধমূলক কাজের জন্যই উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে। সেইসময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন নদীয়ার পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। শুনানি চলাকালীন ওএমআর শিট নষ্টের ঘটনায় মানিক ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত। এরপরই মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গাঙ্গুলি।
প্রসঙ্গত, সিবিআই দপ্তরে হাজিরা না দেওয়ায় পাঁচ সদস্যের দল নিয়ে এসিপি মানিক ভট্টাচার্যর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাননি। যার জেরে যাদবপুর থানায় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির নামে নিখোঁজ ডায়রি করেন। মানিককে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয় এসিপিকে। নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
যদিও এক সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে তাঁকে দিল্লিতে একটি অফিসে দেখা গেছে। মানিক ভট্টাচার্য এবিষয়ে একটিও মন্তব্য করেননি। সেখানে তাঁর ভিডিও করতে গেলে তিনি প্রচণ্ড বিরক্ত হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন