গত ২০ জুন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই রায়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, উচ্চ আদালত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে যথেষ্ট বিপাকে পড়েছিলেন নদীয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। তবে, এদিন শীর্ষ আদালতের রায় মানিকের পক্ষে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন তৃণমূল বিধায়ক।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণ এবং ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় টেট মামলার ক্ষেত্রে যা যা রায় দিয়েছেন, সেগুলির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা হলো।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, টেট দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সঠিক ছিল না। যার জন্য মানিক ভট্টাচার্যের পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত যে হলফনামা হাইকোর্টে জমা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, সেই নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, শীর্ষ আদালতের এই রায় ২৬৯ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে একটা সুযোগ। অর্থাৎ, তাঁরা যাতে বিচারকের কাছে প্রমাণ করতে পারেন যে সঠিক প্রক্রিয়া মেনেই তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনওরকম বেআইনি পথ অবলম্বন করা হয়নি।
একদিকে যখন ২৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা, সেইসময় দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায় নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন