প্রতিবাদ মিছিল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল দুই তরুণীর বিরুদ্ধে। পরে গ্রেফতার করা হয় ওই দুই তরুণীকে। অভিযোগ, তাঁদের হেফাজতে এনে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
আর জি কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির আয়োজিত এক মিছিলে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাবালিকা মেয়ের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরালও হয় (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। এরপর ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর নিমতা থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারির পর পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই দুই তরুণী। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ শুনানিতে জানান, ‘পুলিশের এই আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। যে ভাবে হেফাজতে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে পুলিশের উপর আদালতের আর ভরসা নেই। তাই ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক।‘
পরে মামলাটি যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, মামলাকারীর উপর শারীরিক নির্যাতনের স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের বেঞ্চে ছিল মামলাটির শুনানি। শুনানিতে সিবিআই তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন