কুন্তল কোষের মুখে শোনা গেল কামদুনির প্রতিবাদী নারী মৌসুমী কয়ালের নাম। বৃহস্পতিবার মৌসুমিকে তাপস মণ্ডলের এজেন্ট বলে দাবি করেন কুন্তল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৌসুমী কয়াল।
কুন্তল ঘোষ বলেন, "আমার সাথে মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আগেও ছিল না। গোপাল দলপতির কাছে অনেক টাকা গেছে। তাপস মণ্ডলের অফিসে অনেক মহিলা কাজ করতো, তারাও যুক্ত থাকতে পারে। মৌসুমী কয়াল নামে একজনকে তাপস মণ্ডলের এজেন্ট হিসেবে জানতাম।"
পাশাপাশি মিডিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "এতদিন ধরে মিডিয়া যেভাবে আমার ব্যাপারে টিভিতে দেখিয়েছে তাতে আমার পরিবারের বদনাম হয়েছে। ইডির চার্জশীটে আমার এত বিপুল সম্পত্তির উল্লেখ নেই। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই আমার সম্পত্তি। মিডিয়া ট্রায়ালের ফলে মা মাটি মানুষের কাছে মানে আমার দলের কাছে আমার সম্মান যেভাবে ছোট করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।"
এই প্রসঙ্গে তাপস মন্ডল জানান, "মৌসুমী কয়াল তাঁর কোনো এজেন্ট নয়। কুন্তল হচ্ছে ম্যাজিশিয়ান।" কুন্তলের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন মৌসুমী কয়ালও। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই আমি মিডিয়াগুলিতে বলেছিলাম তাপস মণ্ডলের অফিসে আমি কাজ করতাম। আমি তাঁর কোনও এজেন্ট নই। তাপস মন্ডল মাইনে না দেওয়াতে কাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম।"
তিনি আরও বলেন, "এখন কেন আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের কথা উঠছে আমি বুঝতে পারছি না। কামদুনির ঘটনাতে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তখন আমাকে বলা হয়েছিল প্রতিবাদ না করে টাকা নিতে বা চাকরি নিতে। আমি কোনোটাই করিনি। এখন আমাকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে দেখে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করেই কুন্তল আমার নাম নিচ্ছে। আমি ওর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে প্রস্তুত।"
প্রসঙ্গত এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতিতে মৌসুমী কয়ালের নাম উঠেছিল। মহিষবাথানে তাপসের ট্রেনিং সেন্টারে কাজ করতেন তিনি। সে সময় তিনি তাপসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন সংবাদমাধ্যমে্র সামনে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন