অগ্নিমূল্যের বাজারে কালোবাজারি রুখতে শহরের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালালো টাস্ক ফোর্স। বিক্রেতারা ঠিম দামে সমস্ত সবজি বিক্রি করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি বেশকিছু সবজির দাম কমানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।
এই মুহূর্তে সবজি বাজারে যাওয়া মানেই মধ্যবিত্তের পকেটে টান। যে ভাবে সবজির দাম বেড়েছে তাতে পকেটে টান পড়াটাই স্বাভাবিক। এখন কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা। আদা ২৫০-৩০০ টাকা কেজি, ক্যপসিকাম ১২০ টাকা, বেগুন ১০০-১৫০ টাকা, টম্যাটো ১৫০ টাকা, বিনস ২০০ টাকা এবং রসুন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কালোবাজারি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের যোগ থাকতে পারে।
সোমবার কালোবাজারি রুখতে বিভিন্ন বাজারে হানা দেয় রাজ্য টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা। সেই তালিকায় ছিল বিধাননগরের এবি (AB), এসি (AC), বিডি (BD) এবং সিকে (CK) মার্কেটও। এই বাজারগুলিতে গিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন আধিকারিকরা।
টাস্ক ফোর্সের এক আধিকারিক বলেন, শনিবার মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে নবান্নে একটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমস্ত হোলসেল, রিটেইল বাজারে যাওয়ার। বাজার কমিটির সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্টদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তাঁদেরকে আমরা বলেছি সঠিক দামে সবজি বিক্রি করতে হবে। অধিকমূল্যে বেচা যাবে না। যেমন এখন লঙ্কার দাম ১০০ টাকায় নেমে গেছে। কোথাও কোথাও ৮০ টাকাও নিচ্ছে। কিন্তু এই মার্কেটে প্রতি কেজি ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এটা করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা বলেছি বেশি দামে বেচা যাবে না। আর তা যদি না হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবার দামটা ঠিক হয়ে যাবে। সরকারি দামের সাথে বাজারের দামের অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। বাজারে যদি ২০০ টাকা লঙ্কা হয় সুফল বাংলার স্টলে সেটা ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফা নিতে গেলেই দামটা বৃদ্ধি পাচ্ছে'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন