“আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!”। সাত সকালেই তথাগত রায়ের ট্যুইট ঘিরে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। যদিও রাজ্য বিজেপিকে বিদায় জানালেও তিনি বিজেপি ছাড়ছেন এরকম ইঙ্গিত কোথাও নেই। কারণ, তার পরেই তাঁর অন্য এক ট্যুইটে তিনি ফের তৃণমূলকে আক্রমণের পথে হেঁটেছেন।
এদিনের প্রথম ট্যুইটে তথাগত রায় বলেন, “কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব।”
বিগত বেশ কিছুদিন যাবত একের পর এক ট্যুইটে রাজ্য বিজেপি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব – কেউই তথাগতর বাক্যবাণ থেকে রেহাই পাননি। এমনকি কিছুদিন আগে তিনি একটি বিজ্ঞাপন খ্যাত কুকুরের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছবি ট্যুইট করেছিলেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছিলো।
গত ১৮ নভেম্বর এক ট্যুইটে তথাগত জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিলুপ্তির সম্ভাবনার কথা। ওই ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন – “বিজেপির শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।”
যদিও সাম্প্রতিক সময় একাধিক পরস্পর বিরোধী কথাও বলেছেন তথাগত রায়। ১৮ নভেম্বরের ট্যুইটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিলুপ্তির সম্ভাবনার কথা বললেও গত ৯ নভেম্বর এক ট্যুইটে তিনি অন্য দাবি করেছিলেন। ওই ট্যুইটে তিনি জানান – “বিজেপির ভিতরে বাদানুবাদ নির্বাচন-বিপর্যয়ের পরবর্তী মন্থনের অঙ্গ, সাময়িক ব্যাপার। তা থেকে কেউ যদি ভাবেন বিজেপি উঠে যাবে তবে তা দিবাস্বপ্ন। মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত পার্টি টিকে থাকে যতদিন সেই মতাদর্শের প্রাসঙ্গিকতা থাকে। এক-নেতাকে ঘিরে আবর্তিত পার্টি নেতার অবর্তমানে উঠে যায়।” বলাবাহুল্য আক্রমণের লক্ষ্য অবশ্যই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ অবশ্যই ছিলো গত ৮ নভেম্বরের ট্যুইটে। যেদিন তিনি জানিয়েছিলেন - “৩ থেকে ৭৭”(এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা - এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন