ফের রাজ্য বিজেপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। রবিবার সকালে এক ট্যুইট বার্তায় তিনি তৃণমূলের সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির দিশেহারা অবস্থার কথাও উল্লেখ করেন। এরপরেই তাঁর ইঙ্গিত, এই রাজ্যের কপালে আছে চরম অরাজকতা।
রবিবারের করা ট্যুইটে তথাগত লেখেন, “ইডি ও সিবিআই চুরি ধরবে, তৃণমূলের মুখ চুন হবে ঠিকই। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে তখনই, যখন তারা একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে একটা ভবিষ্যতের চেহারা দেখাতে পারবে।” এরপরেই মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল লেখেন, “সেই সঙ্গে সংগঠনের দিশাহারা অবস্থাও কাটিয়ে উঠতে হবে। নচেৎ এই রাজ্যের কপালে আছে চরম অরাজকতা।”
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার রাজ্য বিজেপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথাগত রায়। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর এক ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “সব দোষ তৃণমূলের ওপর চাপানো ঠিক নয়। বিজেপি সঠিক অর্থে এই রাজ্যে বিরোধী হয়ে উঠতে পারছে না। কাটমানি–সিন্ডিকেট–দুর্নীতিতে নিমজ্জিত অসৎ দল কখনো টিকতে পারে না। শুধু তার জায়গা নেবার কেউ নেই বলেই এখনো তারা দাপিয়ে যাচ্ছে।”
ওইদিনই কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন – “শতাংশের হিসেবে তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়। বিধানসভা নির্বাচনে যে বিপর্যয় হয়েছিল এটা তারই প্রসারণ। যদি দল তার পরে আত্মানুসন্ধান করত এবং যে অসৎ-লম্পট চক্র এর জন্য দায়ী তাকে নির্মমভাবে অপসারণ করত তাহলে কর্মীরা উজ্জীবিত হত, পুরসভার ফল এর চেয়ে অনেক ভাল হতে পারত। কিন্তু তার বদলে হয়েছে ‘তিন থেকে সাতাত্তর’, তৃণমূলের শয়তানির উপর সব দোষ চাপানো, এবং সবশেষে এক গর্দভসুলভ ‘সৌজন্য’।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ তথাগত রায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতৃত্ব – কেউই তাঁর নিশানার বাইরে নয়। সেই তালিকায় আছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে দিলীপ ঘোষ সহ আরও অনেক নেতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন