শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন-সহ ৩ জনের। ফলে, বেশ বিপাকে পড়েছে নবান্ন।
জানা যাচ্ছে, ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের। এছাড়া, দু'জন আমলার নাম রয়েছে চার্জশিটে। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন সুকান্ত আচার্য এবং অন্যজন হলেন প্রবীর বন্দোপাধ্যায়। তবে, জৈন এবং বাকি দুজনকে ইডি'র চার্জশিটে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
তবুও এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে নবান্ন। বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক অভিহিত করে মণীশ জৈন বলেন, ‘বিষয়টা আমার কাছে চরম অপমানজনক। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আমাকে কোনও দিন কোনও ইন্টারভিউ আয়োজন করতে বলেননি। সুকান্তর মাধ্যমে কিছু হয়েছে বলেও আমি জানি না। আমি কোনও দিন এসবের মধ্যে ছিলাম না। এটা আমার কাছে অত্যন্ত অবাক করা একটা বিষয়।’
উল্লেখ্য, গত বছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে মণীশ জৈনকে তলব করেছিল সিবিআই। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। এবার ইডির চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হল।
এছাড়া, গত বছরের নভেম্বরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হতে হয়েছিল মণীশ জৈনকে।
সেসময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, অবৈধ নিয়োগপ্রাপকদের সুবিধা পাইয়ে দিতে, কার নির্দেশে অতিরিক্ত সুপার-নিউমেরিক পোস্ট তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। জবাবে, মণীশ জৈন আদালতকে বলেন যে, সুপার-নিউমেরিক পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভায় এবং এটির নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
একইসঙ্গে, আদালতে তিনি জানান, যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুপার-নিউমেরিক পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত পাস হয়েছিল, সেখানে তিনি ছিলেন না।
এই বক্তব্যের পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে বলেন, কীভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা অবৈধভাবে নিযুক্ত অযোগ্য প্রার্থীদের স্থান দেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন