এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে ব্যবহার করা হয়েছিল দুটি ভুয়ো ওয়েবসাইট। আর, সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কিত তথ্য জানতে চেয়ে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)-এর নকল দুটি ওয়েবসাইট দেখতে পান তদন্তকারী অফিসারেরা। সূত্রের খবর, গুগুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে ওই দুটি ভুয়া ওয়েবসাইটের বিস্তারিত জানতে চেয়েছে সিবিআই।
জানা যাচ্ছে, বর্তমানে দুটি ওয়েবসাইটই বিলুপ্ত। তবে, গুগলের সাহায্যেই ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে গোটা জালিয়াতি করার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখতে চান গোয়েন্দারা। যা একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলি খোলার জন্য কোন ইমেল আইডি ব্যবহার করা হয়েছে, ডিভাইসগুলির আইপি অ্যাড্রেসগুলি কী ছিল - গুগলের কাছ থেকে এ ধরণের একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। Google কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরে তদন্তে আরও অগ্রগতি আনতে সক্ষম হবে সিবিআই অফিসারেরা বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র অনুসারে জানা যাচ্ছে, WBSSC-এর আসল ওয়েবসাইটের শেষে '.in' আছে। কিন্তু, ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলি শেষ হয়েছে '.com' দিয়ে। গত বৃহস্পতিবার, বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় সিবিআইয়ের একটি বিশেষ আদালতে এই দুটি ওয়েবসাইটের কথা উল্লেখ করে তদন্তকারী অফিসারেরা।
নিয়োগ দুর্নীতির জন্যই WBSSC-র ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। যাঁদের থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছিল তাঁদের নাম ভুয়ো ওয়েবসাইটে তুলে ধরতেই এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই।
তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, 'এটি চাকরিপ্রার্থীদের আস্থা অর্জনের একটি পদ্ধতি ছিল। যাতে প্রার্থীদের কাছ থেকে অবশিষ্ট টাকা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারসাজির পক্রিয়া শুরু করা যায়। এই কেলেঙ্কারিটি সত্যিকার অর্থে একটি গোলকধাঁধা, যেখানে একটি দরজা খুললে অন্যান্য দরজাও খুলে যায়, এবং তা একাধিক গোপন চেম্বারের দিকে নিয়ে যায়।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন