প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় নথি ইতিমধ্যেই তলব করেছে সিবিআই। সেই কারণেই রাজ্যের প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবার সিবিআই আধিকারিকদের হেফাজতে আসতে চলেছে। এ বিষয়ে সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
বিজ্ঞপ্তিতে ঠিক কী বলা হয়েছে? কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী - ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষকের নিয়োগের ব্যাপারে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষককেই এক্সেল শিটে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এইসব যাবতীয় তথ্য আগামী বুধবারের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে পাঠাতে হবে। এর জন্য শিক্ষকদের একটি ইমেল আইডি দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বুধবারের মধ্যে সেখানে পাঠাতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি আরসি বাগচী এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার যাবতীয় নথিপত্র পাওয়ার পর সেগুলো সিবিআই-র হাতে তুলে দেবে সংসদ।
যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একজন কর্মকর্তাও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।
এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, "চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকার স্বচ্ছতা বজায় রাখত, তা হলে আর শিক্ষকদের এইভাবে হেনস্তা হতে হত না। আমরা চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত করুক সিবিআই। তাতে যেমন বর্তমান শাসক দলের নেতাদের জি়জ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তেমনই বিরোধী দল বিজেপির শীর্ষ নেতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কারণ তাঁদের দলেও এমন অনেক নেতা আছেন, যাঁরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৃণমূলে ছিলেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন