শুক্রবার ৫৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৫৩ জন শিক্ষকই অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন। এছাড়াও ১ জন অবৈধ শিক্ষককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে উচ্চ আদালত।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১৩ জুন ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু গত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের সহ টেট মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যা যা রায় দিয়েছিলেন, সবগুলির উপর গত ১৮ অক্টোবর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
সেই সময় শীর্ষ আদালত জানায় - প্রথমত হাইকোর্টকে ২৬৯ জনের কী বক্তব্য রয়েছে তা শুনতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদেরই উচ্চ আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। ২৬৯ জনকেই হলফনামায় জানাতে হবে যে, তাঁরা বৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন।
আদালত সূত্রের খবর, সুপ্রিম নির্দেশ মেনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান বেশকিছু শিক্ষক। নিজেদের বক্তব্য হলফনামার মাধ্যমে আদালতে জানান তাঁরা। শুক্রবার এদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৫৩ জন। বাকি ১ জন অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরেই হলফনামার বক্তব্য খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি। গরহাজির থাকা ১ জনের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ঐ ২৬৯ জনের প্রত্যেককে টেট পরীক্ষায় ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদের দাবি - পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই জন্যই তাঁদেরকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আদালত পাল্টা প্রশ্ন করে - ২৬৯ জনের নম্বর বাড়ানো হলে, বাকি পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ানো হল না কেন? পাশাপাশি, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেন ঐ ২৬৯ জনকেই নিয়োগ করা হল?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন