ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই মামলার আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।
আজ মঙ্গলবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার আবেদন খারিজ করেছে। এমনকি চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৬ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
ঠিক কী জানা গেছে? আজ আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, দীর্ঘ ৮ বছর অতিক্রান্ত। তাই এত বছর পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা উচিত না। জনস্বার্থ মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, এই মামলাটি গ্রহণযোগ্য এবং ঠিক সেই কারণেই রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মত প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেধাতালিকা কেন প্রকাশ করা হয়নি সেই প্রশ্ন জানতে চেয়েই এই মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। এর পাশাপাশি সত্যি প্রকাশ্যে আনার জন্য সিবিআই-ইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই রাজ্য সরকারকে দ্রুত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য্য। সেই জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন রত্না চক্রবর্তী বাগচী। সম্প্রতি মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের দুটি বাড়ি, রত্না চক্রবর্তীর বাড়ি এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছে।
এই প্রসঙ্গে তখন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, "মানিক ভট্টাচার্যের আমলের টেট-নিয়োগ দুর্নীতি সবারই জানা। এটা তো আর লুকোছাপা নেই। এতদিন তিনি পর্ষদের সভাপতি রয়েছেন সেটাই আশ্চর্যের। অপসারণ করে লাভ হবে না। কোমরে দড়ি পরিয়ে এঁদের হাজতে ঢোকাতে হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন