প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চে কার্যত ধাক্কা খেল রাজ্য। যে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই নির্দেশই বহাল থাকবে বলে জানালো ডিভিশন বেঞ্চ।
এর পাশাপাশি, পর্ষদ সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টচার্যের অপসারণের নির্দেশও বহাল রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও, মানিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির নথিও চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশও বহাল রেখেছে।
আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গলবেঞ্চ যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল তাও বহাল থাকবে। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই-ই এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায় বহাল রেখে বিচারপতি তালুকদার জানান, একক বেঞ্চই তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট চাইতে পারবে। এমনকি, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের আর্থিক দিকটিও দেখবে একক বেঞ্চই। অর্থাৎ টেট মামলার বিচার প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চেই।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক মামলা সংক্রান্ত যতগুলি রায় দিয়েছিলেন, সেই সবকটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এদিনের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই মান্যতা দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, "যেটা হওয়া উচিত, আইনগত এবং সংবিধানসম্মতভাবে ডিভিশন বেঞ্চ সেটাই করেছে। মোট ১১টি মামলা হয়েছিল। সবার কথাই শোনা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে স্বাগত। আর যেন তদন্তে কোনও ঢিলেমি না হয়। তদন্তকারীরা যেন কোনওভাবেই প্রভাবিত না হন, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন