'এ রাজ্যের লাখ লাখ যুবকের সর্বনাশ করেছেন উনি। অনেক দেরি করে গ্রেফতার করা হয়েছে ওনাকে।' শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সোমবার রাতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার ভোরে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। বয়ানে অসঙ্গতি, জেরায় অসহযোগিতা, আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "এই রাজ্যের লাখ লাখ যুবকের সর্বনাশ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। স্বাভাবিক ও সঙ্গত কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তবে গ্রেফতারি অনেকটা দেরিতে হল। অনেক তথ্য হাপিস করে দিয়েছেন উনি এর মাঝে। তদন্ত এড়ানোর জন্য পালিয়ে গিয়েছেন, লুকিয়ে থেকেছেন।"
বাম নেতা আরও বলেন, "উনি যে অপরাধী সেটা সবাই জানতো, কিন্তু সব জেনেও টাকার ভাগের জন্য ওনাকে ফের বিধায়ক করা হয়েছে। আসলে যে যত বড় অপরাধী, সে তত বড়ো নেতা।"
মুখ্যমন্ত্রীকেও জেরা করার দাবি তুলেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "একা মানিক সবটা করেননি। সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদরাও এই কাজ চালিয়ে গেছেন। লাখ লাখ যুবকের প্রাপ্য চাকরি কেড়ে নিয়ে তাদের চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সবটা জানতো। তাই মুখ্যমন্ত্রীকেও জেরা করা উচিত।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তি প্রসাদ সিংহ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গাঙ্গুলি সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন