রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচ থাকা সত্বেও কিভাবে গ্রেফতার করা হলো মানিক ভট্টাচার্যকে?
মঙ্গলবার ভোরে মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে। তা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হলো? এর উত্তরে ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচ ছিল কেবল সিবিআই মামলার ক্ষেত্রে। ইডি-র গ্রেফতারিতে এরকম কোনও রক্ষা কবচ নেই। তাই ইডি-র তাঁকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই।
তৃণমূল জমানায় প্রায় এক দশক ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তাঁকে সভাপতি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডির অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশেই মার্কশিটে পরিবর্তন করা হতো, OMR শিটে হেরফের করা হতো। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির কাছে যে নথি জমা দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে।
ইডির তরফ থেকে তথ্যপ্রমাণ দেখানোর পরেও আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি।
মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়ককে। আজই আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন