প্রাথমিকে আরও ২২ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। যতদ্রুত সম্ভব পর্ষদকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার আদালতে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নভুল সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। শুনানি শেষে বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেন, পর্ষদের উচিত যোগ্যদের চাকরি দেওয়া। আরও ২২ জনকে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে।
এর আগে প্রথমে ৭৭ জন, তারপর ১১২ ও ৬৫ জন অর্থাৎ মোট ২৫৪ জন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের হাতে পুজোর আগেই নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ মেনে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮৫ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ২৩ লক্ষ প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২১ লক্ষ প্রার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছিলেন দেড় লক্ষ। কিন্তু সেই বছরের পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে মামলাটি লড়েন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং আইনজীবী রেশমী ঘোষ।
৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে শুনানি শেষে আদালত চাকরিপ্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেখানেও ধাক্কা খেতে হয় পর্ষদকে। এরপর চাকরিপ্রার্থীদের বাড়তি নম্বর দিলেও চাকরিতে নিয়োগ করা হয়নি।
পর্ষদের তরফে আদালতে প্রথমে জানানো হয়েছিল, চাকরিতে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় শূন্যপদ নেই। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে তীব্র ভর্ৎসনা করে নির্দেশ দেন, শূন্যপদ না থাকলে, প্রয়োজনে তা তৈরি করে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের চাকরি দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই প্রার্থীদের চাকরি দিতে বাধ্য হচ্ছে পর্ষদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন