প্রাথমিকে ১৪৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে বেতনও বন্ধ থাকবে এই শিক্ষকদের। এঁরা প্রত্যেকেই বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এর আগে প্রাথমিকে অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরি প্রাপকরা সুপ্রিম কোর্টে যান। সর্বোচ্চ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই মামলা ফিরিয়ে দেয় এবং নতুন করে চাকরিপ্রাপকদের আবেদন শোনার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, এই ২৬৮ জনকে হাইকোর্টে চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে। বৈধতার নথি খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মানতে হবে।
সেই অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। আজ ১৪৬ জন আবেদনকারীদের হলফনামা দেখা ও সওয়াল-জবাব শোনার পর, তাদের মধ্যে ১৪৩ জনের চাকরি নাকচ ও বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন শিক্ষকের চাকরি বহাল রেখেছে আদালত। প্রশ্ন ভুলের দরুন তাঁরা অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। আর এক জনের ক্ষেত্রে বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর নথি আরও এক বার খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য আজ ছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের শুনানি। এর আগে প্রথম পর্যায়ের শুনানিতে ৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি। দুই পর্যায় মিলিয়ে ২৬৮ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাই কোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন